রুদ্রচণ্ড
গান
রাগিণী— মিশ্র গৌড়-সারঙ্গ
তরুতলে ছিন্নবৃন্ত মালতীর ফুল
   মুদিয়া আসিছে আঁখি তার,
   চাহিয়া দেখিল চারি ধার।
শুষ্ক তৃণরাশি-মাঝে একেলা পড়িয়া,
   চারি দিকে কেহ নাই আর।
   নিরদয় অসীম সংসার।
কে আছে গো দিবে তার তৃষিত অধরে
   এক বিন্দু শিশিরের কণা?
   কেহ না— কেহ না!
মধুকর কাছে এসে বলে,
  ‘মধু কই, মধু চাই চাই।’
ধীরে ধীরে নিশ্বাস ফেলিয়া
  ফুল বলে, ‘কিছু নাই নাই।’
‘ফুলবালা, পরিমল দাও’
  বায়ু আসি কহিতেছে কাছে।
  মলিন বদন ফিরাইয়া
ফুল বলে, ‘আর কিবা আছে! ’
  মধ্যাহ্নকিরণ চারি দিকে
  খর দৃষ্টে চেয়ে অনিমিখে,
  ফুলটির মৃদু প্রাণ হায়
  ধীরে ধীরে শুকাইয়া যায়।
অমিয়া।    ওই আসিছেন পিতা, লুকাও লুকাও,
পায়ে পড়ি— লুকাও লুকাও এই বেলা,
একটি আমার কথা রাখ চাঁদ কবি!
সময় নাইক আর— ওই আসিছেন,
কি হবে? কি হবে ভাই? কোথা লুকাইবে?
রুদ্রচণ্ডের প্রবেশ
পিতা, পিতা, ক্ষমা কর, ক্ষমা কর মোরে;