রুদ্রচণ্ড
মৃদু মিষ্ট কথা শুনি আহলাদে গলিয়া
রাজ্যধন উপহার দিই নাকো আমি!
বিশাল রাজসভার ব্যাধি তোরা যত
আমার অরণ্যে কেন করিলি প্রবেশ?
পুষ্টদেহ ধনী তোরা, দেখিতে এলি কি
কুটীরে কি ক’রে থাকে অরণ্যের লোক?
মনে কি করিলি এই অরণ্যবাসীরে
দুটা অনুগ্রহবাক্যে কিনিয়া রাখিবি?
তাই আজ প্রাতঃকালে স্বর্ণময় বেশে
বিশাল উষ্ণীষ এক বাঁধিয়া মাথায়
এলি হেথা ধাঁধিবারে দরিদ্রনয়ন?
জানিস কি, বনবাসী এই রুদ্রচণ্ড—
যতেক উষ্ণীষধারী আছয়ে নগরে
সবার উষ্ণীষে করে শত পদাঘাত!
দূত।     রুদ্রচণ্ড, মিছা কেন করিতেছ রোষ!
উপকার করিতেই এসেছি হেথায়!
একজন দূতের প্রবেশ
রুদ্র।     বটে বটে, উপকার করিতে এসেছ!
তোমারা নগরবাসী স্ফীতদেহ সবে
উপকার করিবারে সদাই উদ্যত!
তোমাদের নগরের বালক সে চাঁদ
উপকার করিতে আসেন তিনি হেথা,
উপকার ক’রে মোরে রেখেছেন কিনে!
এত উপকার তিনি করেছেন মোর
আর কারো উপকারে আবশ্যক নাই!
দূত।      রুদ্রচণ্ড, বুঝি তুমি ভ্রমে পড়িয়াছ,
আমি নহি পৃথ্বীরাজ-রাজ-সভাসদ।
রাজ-রাজ মহারাজ মহম্মদ ঘোরী
তিনি আমারে হেথা করেন প্রেরণ—
অধীর হোয়ো না, সব শোন একে একে—
পৃথ্বীরাজে আক্রমিতে আসিছেন তিনি,