রুদ্রচণ্ড
কৃপাণ খুলিয়া রুদ্রচণ্ডকে দূতের সহসা আক্রমণ
উভয়ের যুদ্ধ ও দূতের পতন


অষ্টম দৃশ্য
দৃশ্য। পথ
নেপথ্যে গান
তরুতলে ছিন্নবৃন্ত মালতীর ফুল
মুদিয়া আসিছে আঁখি তার।
চাহিয়া দেখিল চারি ধার!
শুষ্ক তৃণরাশি-মাঝে একেলা পড়িয়া,
চারি দিকে কেহ নাই আর,
নিরদয় অসীম সংসার।
কে আছে গো দিবে তার তৃষিত অধরে
এক বিন্দু শিশিরের কণা!
কেহ না, কেহ না!
মধ্যাহ্নকিরণ চারি দিকে
খরদৃষ্টে চেয়ে অনিমিখে—
ফুলটির মৃদুপ্রাণ হায়
ধীরে ধীরে শুকাইয়া যায়
নেপথ্যে
উত্তরের পথ দিয়া চল সৈন্যগণ!
সেনাপতিগণ সৈন্যগণ ও চাঁদ কবির প্রবেশ
চাঁদ কবি।      অমিয়ার কণ্ঠ যেন শুনিনু সহসা,
এ মধ্যাহ্নে রাজপথে সে কেন আসিবে?
সেনাপতি।     সৈন্যগণ হেথা এসে দাঁড়াইলে কেন?
বিশ্রাম করিতে কভু এই কি সময়?
দ্বিতীয় সেনাপতি।      শুনিনু যবনগণ যুঝে প্রাণপণে—
অতিশয় ক্লান্ত নাকি হিন্দু সৈন্য যত।