রুদ্রচণ্ড
এখনো রয়েছে তারা সাহায্যের আশে,
নিতান্ত নিরাশ হবে বিলম্ব হইলে।
চাঁদ কবি।      তবে চল, চল ত্বরা, আর দেরি নয়!
গমনোদ্যম। অমিয়ার প্রবেশ
অমিয়া।      চাঁদ, চাঁদ—ভাই মোর—
সৈন্যগণ।      কে তুই! দূর হ!
সেনাপতি।      স’রে দাঁড়া, পথ ছাড়্‌, চল সৈন্যগণ!
চাঁদ কবি।      [স্তম্ভিত হইয়া ] অমিয়া রে—
সেনাপতি।     চাঁদ কবি, এই কি সময়!
আমাদের মুখ চেয়ে সমস্ত ভারত,
ছেলেখেলা পেনু একি পথের ধারেতে?
চল চল, বাজাও, বাজাও রণভেরী!
চাঁদ।    [যাইতে যাইতে] অমিয়া রে, ফিরে এসে—
সেনাপতি।                বাজাও দুন্দুভি!
রণবাদ্য। প্রস্থান
অমিয়ার অবসন্ন হইয়া পতন


নবম দৃশ্য
নগর। রুদ্রচণ্ড
রুদ্র।   বেধেছে তুমুল রণ; কোথা পৃথ্বীরাজ!
ওরে রে সংগ্রামদৈত্য শোণিতপিপাসী,
সমস্ত হস্তিনা তুই করিস রে গ্রাস,
পৃথ্বীরাজে রেখে দিস এ ছুরিকা-তরে।
পৃথ্বীরাজ আছে কোন্‌ শিবিরে না জানি!
ভ্রমিতেছি তার তরে প্রভাত হইতে।
আজ তার দেখা পেলে পূরাইব সাধ।
একি ঘোর কোলাহল নগরের পথে,
সম্মুখে, দক্ষিণে বামে সহস্র বর্বর
গায়েয উপর দিয়া যেতেছে চলিয়া!