রুদ্রচণ্ড
হীন অপদার্থ যত বিলাসীর পাল,!
যুদ্ধের হুংকার শুনে ডরিয়া মরুক!
নবনীগঠিত যত সুখের শরীর—
নিজের অস্ত্রের ভারে পিষিয়া মরুক!
ঐশ্বর্য্যধূলায় অন্ধ নগরের কীট
নিজের গরবে ফেটে মরুক— মরুক!
দশম দৃশ্য
অমিয়া। পথ
অমিয়া। চলে গেল!— সকলেই চ’লে গেল গো!
দিন রাত্রি পথে পথে করিয়া ভ্রমণ
এক মুহূর্ত্তের তরে দেখা হল যদি,
চলে গেল? একবার কথা কহিল না?
একবার ডাকিল না ‘অমিয়া’ বলিয়া?
স্বপ্নের মতন সব চ’লে গেল গো?
অমিয়া রে, এত কি নির্বোধ তুই মেয়ে?
সকলেরি কাছে কি করিস অপরাধ?
পিতা তোরে জন্মতরে করিলেন ত্যাগ,
চাঁদ কবি ভাই তোর স্নেহের সাগর,
তাঁরো কাছে আজ কি রে হলি অপরাধী?
তিনিও কি তোরে আজ করিলেন ত্যাগ?
কেহ তোর রহিল না অকূল সংসারে?
কে আছে গো, ক্ষুদ্র এই শ্রান্ত বালিকারে
একবার নেবে গো স্নেহের কোলে তুলে?
এই তো এসেছি সেই অরণ্যের পথে।
যাব কি পিতার কাছে? যদি রুষ্ঠ হন!
আবার আমারে যদি দেন তাড়াইয়া!
যাহা ইচ্ছা করিবেন, তাঁরি কাছে যাই!
ধরিয়া চরণ তাঁর রহিব পড়িয়া!
মা গো মা, হৃদয় বুঝি ফেটে গেল মোর!
প্রাণের বন্ধন বুঝি ছিঁড়ে গেল সব!