ভগ্নহৃদয়
    সাধের খেলেনা-মতো,
উলটি পালটি সে নাম লইয়া
    রসনা খেলায় কত!
নাম যদি তার বলিস্‌, তা হ’লে
     তোরে আমি অবিরাম
    শুনাব তাহারি নাম—
গানের মাঝারে সে নাম গাঁথিয়া
    সদা গাব সেই গান!
রজনী হইলে সেই গান গেয়ে
    ঘুম পাড়াইব তোরে,
প্রভাত হইলে সেই গান তুই
    শুনিবি ঘুমের ঘোরে!
ফুলের মালায় কুসুম-আখরে
    লিখি দিব সেই নাম—
গলায় পরিবি, মাথায় পরিবি,
তাহারি বলোয় কাঁকন করিবি,
হৃদয়-উপরে যতনে ধরিবি
    নামের কুসুমদাম!
যখনি গাহিবি তাহার গান,
যখনি কহিবি তাহার নাম,
সাথে সাথে সখি আমিও গাহিব,
সাথে সাথে সখি আমিও কহিব,
     দিবারাতি অবিরাম—
সারা জগতের বিশাল আখরে
     পড়িবি তাহারি নাম!
যখনি বলিবি তোর পাশে তারে
     ধরিয়া আনিয়া দিব—
সুমুখ হইতে পলাইয়া গিয়া
     আড়ালেতে লুকাইব।
দেখিব কেমন দুখ না ছুটে
ওই মুখে তোর হাসি না ফুটে—
ভুলিবি এ বন, ভুলিবি বেদন,