কালের যাত্রা

পিঠের উপর চড়ে বসেছে যম।

দ্বিতীয় সৈনিক

ঐ যে আসছে কবি, ওকে জিঞ্জাসা করি ব্যাপারটা কী।

পুরোহিত

পাগলের মতো কথা বলছ তোমরা।

আমরাই বুঝলেম না মানে, বুঝবে কবি?

ওরা তো বানিয়ে বানিয়ে বলে কথা — শাস্ত্র জানে কী?


কবিরপ্রবেশ

 

দ্বিতীয় সৈনিক

এ কী উলটোপালটা ব্যাপার কবি।

পুরুতের হাতে চলল না রথ, রাজার হাতে না —

মানে বুঝলে কিছু?

কবি

ওদের মাথা ছিল অত্যন্ত উঁচু,

মহাকালের রথের চূড়ার দিকেই ছিল ওদের দৃষ্টি —

নীচের দিকে নামল না চোখ,

রথের দড়িটাকেই করলে তুচ্ছ।

মানুষের সঙ্গে মানুষকে বাঁধে যে বাঁধন তাকে ওরা মানে নি।

রাগী বাঁধন আজ উন্মত্ত হয়ে ল্যাজ আছড়াচ্ছে —

দেবে ওদের হাড় গুঁড়িয়ে।

পুরোহিত

তোমার শূদ্রগুলোই কি এত বুদ্ধিমান —

ওরাই কি দড়ির নিয়ম মেনে চলতে পারবে।

কবি

পারবে না হয়তো।

একদিন ওরা ভাববে, রথী কেউ নেই, রথের সর্বময় কর্তা ওরাই।

দেখো, কাল থেকেই শুরু করবে চেঁচাতে —

জয় আমাদের হাল লাঙল চরকা তাঁতের।

তখন এঁরাই হবেন বলরামের চেলা —

হলধরের মাতলামিতে জগৎ টা উঠবে টলমলিয়ে।