ফাল্গুনী

সে আমাদের পথে বের করে দিয়ে নিজে সরে দাঁড়ায়।

কোটাল। এ তার কেমনতরো সর্দারি।

চন্দ্রহাস। সর্দারি করে না বলেই তাকে সর্দার করেছি।

কোটাল। দিব্যি সহজ কাজটি তো সে পেয়েছে।

চন্দ্রহাস। না ভাই, সর্দারি করা সহজ, সর্দার হওয়া সহজ নয়।

গান

জন্ম মোদের ত্র্যহস্পর্শে,

সকল অনাসৃষ্টি।

ছুটি নিলেন বৃহস্পতি,

রইল শনির দৃষ্টি।

অযাত্রাতে নৌকো ভাসা,

রাখি নে ভাই ফলের আশা,

আমাদের আর নাই যে গতি

ভেসেই চলা বৈ॥

দাদা, চলো তবে, বেরিয়ে পড়ি।

কোটাল। না না ঠাকুর, ওদের সঙ্গে কোথায় মরতে যাবে।

মাঝি। তুমি আমাদের শোলোক শোনাও, পাড়ার মানুষ সব এল বলে। এ-সব কথা শোনা ভালো।

দাদা। না ভাই, এখান থেকে আমি নড়ছি নে।

তা হলে আমরা নড়ি। পাড়ার মানুষ আমাদের সইতে পারে না।

পাড়াকে আমরা নাড়া দিই, পাড়া আমাদের তাড়া দেয়।

ঐ যে চৌপদীর গন্ধ পেয়েছে, মউমাছির গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

পাড়ার লোক। ওরে মাঝির এখানে পাঠ হবে।

কে গো। তোমরাই পাঠ করবে নাকি।

আমরা অন্য অনেক অসহ্য উৎপাত করি কিন্তু পাঠ করি নে।

ঐ পুণ্যের জোরেই আমরা রক্ষা পাব।

পাড়ার লোক। এরা বলে কী রে। হেঁয়ালি নাকি।

চন্দ্রহাস। আমরা যা নিজে বুঝি তাই বলি ; হঠাৎ হেঁয়ালি বলে ভ্রম হয়। আর তোমরা যা খুবই বোঝ দাদা তাই তোমাদের বুঝিয়ে বলবে, হঠাৎ গভীর জ্ঞানের কথা বলে মনে হবে।

একজন বালকের প্রবেশ

বালক। আমি পারলুম না। কিছুতে তাকে ধরতে পারলুম না।

কাকে ভাই।