ফাল্গুনী

চন্দ্রহাস। বুড়ো? বলিস কী রে।

কলু। আপনারা অত খুশি হন কেন।

ওটা আমাদের একটা বিশ্রী স্বভাব। আমরা খামকা খুশি হয়ে উঠি।

কোটাল। পাগল! একেবারে উন্মাদ পাগল!

চন্দ্রহাস। তাকে তুমি দেখেছ হে?

কলু। বোধ হয় কাল রাত্রে তাকেই দূর থেকে দেখেছিলুম।

কী রকম চেহারাটা।

কলু। কালো, আমাদের এই কোটাল দাদার চেয়েও। একেবারে রাত্রের সঙ্গে মিশিয়ে গেছে। আর বুকে দুটো চক্ষু জোনাক-পোকার মতো জ্বলছে।

ওহে, বসন্ত-উৎসবে তো মানাবে না।

চন্দ্রহাস। ভাবনা কী। তেমন যদি দেখি তবে এবার নাহয় পূর্ণিমার উৎসব না করে অমাবস্যায় করা যাবে। অমাবস্যার বুকে তো চোখের অভাব নেই।

কোটাল। ওহে বাপু, তোমরা ভালো কাজ করছ না।

না, আমরা ভালো কাজ করছি নে।

আবার ধরা পড়েছি রে, আমরা ভালো কাজ করছি নে।

কী করব, অভ্যাস নেই।

যেহেতু আমরা ভালোমানুষ নই।

কোটাল। এ কি ঠাট্টা পেয়েছ। এতে বিপদ আছে।

বিপদ? সেইটেই তো ঠাট্টা।

গান

ভালোমানুষ নই রে মোরা

ভালোমানুষ নই।

গুণের মধ্যে ওই আমাদের

গুণের মধ্যে ওই।

দেশে দেশে নিন্দে রটে,

পদে পদে বিপদ ঘটে,

পুঁথির কথা কই নে মোরা

উলটো কথা কই।

কোটাল। ওহে বাপু, তোমরা যে কোন্‌ সর্দারের কথা বলছিলে, সে গেল কোথায়। সে সঙ্গে থাকলে যে তোমাদের সামলাতে পারত।

সে সঙ্গে থাকে না পাছে সামলাতে হয়।