মুক্তধারা
গান

ভুলে যাই থেকে থেকে

তোমার আসন-’পরে বসাতে চাও

নাম আমাদের হেঁকে হেঁকে।

সত্যি কথা বলব বাবা? যতক্ষণ তাঁরই আসন বলে না চিনবি ততক্ষণ সিংহাসনে দাবি খাটবে না, রাজারও নয়, প্রজারও না। ও তো বুক-ফুলিয়ে বসবার জায়গা নয়, হাত জোড় করে বসা চাই।

দ্বারী মোদের চেনে না যে,

বাধা দেয় পথের মাঝে,

বাহিরে দাঁড়িয়ে আছি,

লও ভিতরে ডেকে ডেকে।

দ্বারী কি সাধে চেনে না? ধুলোয় ধুলোয় কপালের রাজটিকা যে মিলিয়ে এসেছে। ভিতরে বশ মানল না, বাইরে রাজত্ব করতে ছুটবি? রাজা হলেই রাজাসনে বসে, রাজাসনে বসলেই রাজা হয় না।

মোদের প্রাণ দিয়েছ আপন হাতে

মান দিয়েছ তারি সাথে।

থেকেও সে মান থাকে না যে

লোভে আর ভয়ে লাজে,

ম্লান হয় দিনে দিনে,

যায় ধুলোতে ঢেকে ঢেকে।

১। যাই বল,রাজদুয়ারে কেন যে চলেছ বুঝতে পারলুম না।

ধনঞ্জয়। কেন, বলব? মনে বড়ো ধোঁকা লেগেছে।

১। সে কি কথা?

ধনঞ্জয়। তোরা আমাকে যত জড়িয়ে ধরছিস তোদের সাঁতার শেখা ততই পিছিয়ে যাচ্ছে। আমারও পার হওয়া দায় হল। তাই ছুটি নেবার জন্যে চলেছি সেইখানে, যেখানে আমাকে কেউ মানে না।

১। কিন্তু রাজা তোমাকে তো সহজে ছাড়বে না।

ধনঞ্জয়। ছাড়বে কেন রে। যদি আমাকে বাঁধতে পারে তাহলে আর ভাবনা রইল কী?

গান

আমাকে যে বাঁধবে ধরে এই হবে যার সাধন,

সে কি অমনি হবে?

আমার কাছে পড়লে বাঁধা সেই হবে মোর বাঁধন,

সে কি অমনি হবে?

কে আমারে ভরসা করে আনতে আপন বশে?