চিরকুমার-সভা
নৃপ তাহাকে টানিয়া লইয়া চলিল

(চলিতে চলিতে) এলে খবর দিয়ো মুখুজ্জেমশায়, ফাঁকি দিয়ো না। দেখছ তো সেজদিদি কিরকম চঞ্চল হয়ে উঠেছে।—


                 গান

না ব’লে যায় পাছে সে

আঁখি মোর ঘুম না জানে।

অক্ষয়। ভয় নেই, ভয় নেই। একটা যায় তো আর-একটা আসবে। যে বিধাতা আগুন সৃষ্টি করেছেন পতঙ্গও তিনিই জুটিয়ে দেবেন। এখন গানটা চলুক।

নীরবালা।—

কাছে তার রই, তবুও

ব্যথা যে রয় পরানে।

অক্ষয়। নীরু, এটা তো আগন্তুকদের লক্ষ্য করে তৈরি হয় নি। কাছের মানুষটি কে বলো তো।

নীরবালা।—

যে পথিক পথের ভুলে

এল মোর প্রাণের কূলে

পাছে তার ভুল ভেঙে যায়

চলে যায় কোন্‌ উজানে,

আঁখি মোর ঘুম না জানে।

অক্ষয়। এ তো আমার সঙ্গে মিলছে। কিন্তু ভাই, জেনেশুনেই পথ ভুলেছি, সুতরাং সে ভুল ভাঙবার রাস্তা রাখি নি।

নীরবালা।—

এল যেই এল আমার আগল টুটে,

খোলা দ্বার দিয়ে আবার যাবে ছুটে।

খেয়ালের হাওয়া লেগে

যে খেপা ওঠে জেগে

সে কি আর সেই অবেলায়

মিনতির বাধা মানে।

আঁখি মোর ঘুম না জানে।

অক্ষয়।—

গান

না, না গো, না

কোরো না ভাবনা—