প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
গালিয়ে নেব আমার হার, আমার বাজুবন্দ,
দড়ির ডগা দেব সোনা-বাঁধিয়ে।
আহা, কী সুন্দর রূপ গো।
প্রথমা
যেন যমুনা নদীর ধারা।
দ্বিতীয়া
যেন নাগকন্যার বেণী।
তৃতীয়া
যেন গণেশঠাকুরের শুঁড় চলেছে লম্বা হয়ে,
দেখে জল আসে চোখে।
সন্ন্যাসীর প্রবেশ
প্রথমা
দড়ি-ঠাকুরের পুজো এনেছি ঠাকুর!
কিন্তু পুরুত যে নড়েন না, মন্তর পড়বে কে।
সন্ন্যাসী
কী হবে মন্তরে।
কালের পথ হয়েছে দুর্গম।
কোথাও উঁচু, কোথাও নিচু, কোথাও গভীর গর্ত।
করতে হবে সব সমান, তবে ঘুচবে বিপদ।
তৃতীয়া
বাবা, সাতজন্মে শুনি নি এমন কথা।
চিরদিনই তো উঁচুর মান রেখেছে নিচু মাথা হেঁট ক'রে।
উঁচু-নিচুর সাঁকোর উপর দিয়েই তো রথ চলে।
সন্ন্যাসী
দিনে দিনে গর্তগুলোর হাঁ উঠছে বেড়ে।
হয়েছে বাড়াবাড়ি, সাঁকো আর টিঁকছে না।
ভেঙে পড়ল ব'লে।
[ প্রস্থান