কালের যাত্রা

বরাবর যা প্রচ্ছন্ন তাই প্রকাশ হবার সময়টাই যুগান্তর।

সৈনিক

আদেশ করুন কী করতে হবে, ভয় করি নে আমরা।

মন্ত্রী

ভয় করতেই হবে, তলোয়ারের বেড়া তুলে বন্যা ঠেকানো যায় না।

চর

এখন কী আদেশ বলুন।

মন্ত্রী

বাধা দিয়ো না ওদের।

বাধা পেলে শক্তি নিজেকে নিজে চিনতে পারে —

চিনতে পারলেই আর ঠেকানো যায় না।

চর

ওই-যে এসে পড়েছে ওরা।

মন্ত্রী

কিছু কোরো না তোমরা, থাকো স্থির হয়ে।


শূদ্রদলের প্রবেশ

দলপতি

আমরা এলেম বাবার রথ চালাতে।

মন্ত্রী

তোমরাই তো বাবার রথ চালিয়ে আসছ চিরদিন।

দলপতি

এতদিন আমরা পড়তেম রথের চাকার তলায়,

দলে গিয়ে ধুলোয় যেতুম চ্যাপটা হয়ে।

এবার সেই বলি তো নিল না বাবা।

মন্ত্রী

তাই তো দেখলেম।

সকাল থেকে চাকার সামনে ধুলোয় করলে লুটোপুটি —

ভয়ে উপরে তাকালে না, পাছে ঠাকুরের দিকে চোখ পড়ে —

তবু তো চাকার মধ্যে একটুও দেখা গেল না ক্ষুধার লক্ষণ।

পুরোহিত

একেই বলে অগ্নিমান্দ্য,

তেজ ক্ষয় হলেই ঘটে এই দশা।