কালের যাত্রা

ওঁর দেহ শোধন করতে গঙ্গা যাবে শুকিয়ে।

সৈনিক

গঙ্গার দরকার হবে না।

ঘড়ার ঢাকনার মতো শূদ্রগুলোর মাথা দেব উড়িয়ে,

ঢালব ওদের রক্ত।

নাগরিক

মন্ত্রীমশায়, যাও কোথায়?

মন্ত্রী

যাব ওদের সঙ্গে রশি ধরতে।

সৈনিক

ছি ছি, ওদের হাতে হাত মেলাবে তুমি!

মন্ত্রী

ওরাই যে আজ পেয়েছে কালের প্রসাদ।

স্পষ্টই গেল দেখা, এ মায়া নয়, নয় স্বপ্ন।

এবার থেকে মান রাখতে হবে ওদের সঙ্গে সমান হয়ে।

সৈনিক

তাই বলে ওদেরই এক সারে রশি ধরা!

ঠেকাবই আমরা, রথ চলুক আর নাই চলুক।

মন্ত্রী

এবার দেখছি চাকার তলায় পড়বার পালা তোমাদেরই।

সৈনিক

সেও ভালো। অনেক কাল চণ্ডালের রক্ত শুষে চাকা আছে অশুচি,

এবার পাবে শুদ্ধ রক্ত। স্বাদ বদল করুক।

পুরোহিত

কী হল মন্ত্রী, এ কোন্‌ শনিগ্রহের ভেলকি?

রথটা যে এরই মধ্যে নেমে পড়েছে রাজপথে।

পৃথিবী তবু তো নেমে গেল না রসাতলে।

মাতাল রথ কোথায় পড়ে কোন্‌ পল্লীর ঘাড়ে, কে জানে।

সৈনিক

ওই দেখো, ধনপতির দল আর্তনাদ করে ডাকছে আমাদের।

রথটা একেবারে সোজা চলেছে ওদেরই ভাণ্ডারের মুখে।

যাই ওদের রক্ষা করতে।