কালের যাত্রা

কাউকে পারব না বাঁচাতে।

চল্‌ রে চল্‌, দেখলেও পাপ আছে।

[ প্রস্থান

পুরোহিত

চোখ বোজো, চোখ বোজো তোমরা।

ভস্ম হয়ে যাবে ক্রুদ্ধ মহাকালের মূর্তি দেখলে।

সৈনিক

এ কি, এ কি, চাকার শব্দ নাকি —

না আকাশটা উঠল আর্তনাদ করে?

পুরোহিত

হতেই পারে না — কিছুতেই হতে পারে না —

কোনো শাস্ত্রেই লেখে না।

নাগরিক

নড়েছে রে, নড়েছে, ওই তো চলেছে।

সৈনিক

কী ধুলোই উড়ল — পৃথিবী নিশ্বাস ছাড়ছে।

অন্যায়, ঘোর অন্যায়! রথ শেষে চলল যে —

পাপ, মহাপাপ!

শূদ্রদল

জয় জয়, মহাকালনাথের জয়!

পুরোহিত

তাই তো, এও দেখতে হল চোখে!

সৈনিক

ঠাকুর, তুমিই হুকুম করো, ঠেকাব রথ-চলা।

বৃদ্ধ হয়েছেন মহাকাল, তাঁর বুদ্ধিভ্রংশ হল —

দেখলেম সেটা স্বচক্ষে।

পুরোহিত

সাহস হয় না হুকুম করতে।

অবশেষে জাত খোওয়াতেই বাবার যদি খেয়াল গেল

এবারকার মতো চুপ করে থাকো রঞ্জুলাল।

আসছে বারে ওঁকে হবেই প্রায়শ্চিত্ত করতে।

হবেই, হবেই, হবেই।