কাহিনী

তুমি যদি দিতে পূজার অর্ঘ্য

আমি সঁপিতাম স্বর্গসুধা।

দেবতারে মোর কেহ তো চাহে নি,

নিয়ে গেল সবে মাটির ঢেলা,

দূর দুর্গম মনোবনবাসে

পাঠাইল তাঁরে করিয়া হেলা।

সেইখানে এল আমার তাপস,

সেই পথহীন বিজন গেহ —

স্তব্ধ নীরব গহন গভীর

যেথা কোনোদিন আসে নি কেহ।

সাধকবিহীন একক দেবতা

ঘুমাতেছিলেন সাগরকূলে —

ঋষির বালক পুলকে তাঁহারে

পূজিলা প্রথম পূজার ফুলে।

আনন্দে মোর দেবতা জাগিল,

জাগে আনন্দ ভকত-প্রাণে —

এ বারতা মোর দেবতা তাপস

দোঁহে ছাড়া আর কেহ না জানে।


কহিলা কুমার চাহি মোর মুখে —

‘ আনন্দময়ী মুরতি তুমি,

ফুটে আনন্দ বাহুতে তোমার,

ছুটে আনন্দ চরণ চুমি। '

শুনি সে বচন, হেরি সে নয়ন,

দুই চোখে মোর ঝরিল বারি।

নিমেষে ধৌত নির্মল রূপে

বাহিরিয়া এল কুমারী নারী।

বহুদিন মোর প্রমোদনিশীথে

যত শত দীপ জ্বলিয়াছিল —

দূর হতে দূরে — এক নিশ্বাসে

কে যেন সকলই নিবায়ে দিল।

প্রভাত-অরুণ ভায়ের মতন

সঁপি দিল কর আমার কেশে,