কাহিনী

উঠে জয় তাঁর নয়ন ভরি।

জননীর স্নেহ রমণীর দয়া

কুমারীর নব নীরব প্রীতি

আমার হৃদয়বীণার তন্ত্রে

বাজায়ে তুলিল মিলিত গীতি।

 

কহিলা কুমার চাহি মোর মুখে —

"কোন্‌ দেব আজি আনিলে দিবা!

তোমার পরশ অমৃতসরস,

তোমার নয়নে দিব্য বিভা। "

হেসো না মন্ত্রী, হেসো না, হেসো না,

ব্যথায় বিঁধো না ছুরির ধার —

ধূলিলুণ্ঠিতা অবমানিতারে

অবমান তুমি কোরো না আর।

মধুরাতে কত মুগ্ধহৃদয়

স্বর্গ মেনেছে এ দেহখানি —

তখন শুনেছি বহু চাটুকথা,

শুনি নি এমন সত্যবাণী।

সত্য কথা এ, কহিনু আবার,

স্পর্ধা আমার কভু এ নহে —

ঋষির নয়ন মিথ্যা হেরে না,

ঋষির রসনা মিছে না কহে।

বৃদ্ধ, বিষয়বিষজর্জর,

হেরিছ বিশ্ব দ্বিধার ভাবে —

নগরীর ধূলি লেগেছে নয়নে,

আমারে কি তুমি দেখিতে পাবে?

আমিও দেবতা, ঋষির আঁখিতে

এনেছি বহিয়া নূতন দিবা —

অমৃতসরস আমার পরশ,

আমার নয়নে দিব্য বিভা।

আমি শুধু নহি সেবার রমণী

মিটাতে তোমার লালসাক্ষুধা।