কাহিনী

পাতায় পাতায় শিহরি উঠে।

যে গাথা গাহিলা সে কখনো আর

হয় নি রচিত নারীর তরে,

সে শুধু শুনেছে নির্মলা উষা

নির্জন গিরিশিখর- ' পরে।

সে শুধু শুনেছে নীরব সন্ধ্যা

নীল নির্বাক্‌ সিন্ধুতলে —

শুনে গ'লে যায় আর্দ্র হৃদয়

শিশিরশীতল অশ্রুজলে।


হাসিয়া উঠিল পিশাচীর দল

অঞ্চলতল অধরে চাপি —

ঈষৎ ত্রাসের তড়িৎ-চমক

ঋষির নয়নে উঠিল কাঁপি।

ব্যথিত চিত্তে ত্বরিত চরণে

করজোড়ে পাশে দাঁড়ানু আসি —

কহিনু, " হে মোর প্রভু তপোধন,

চরণে আগত অধম দাসী। "

তীরে লয়ে তাঁরে, সিক্ত অঙ্গ

মুছানু আপন পট্টবাসে।

জানু পাতি বসি যুগল চরণ

মুছিয়া লইনু এ কেশপাশে।

তার পরে মুখ তুলিয়া চাহিনু

ঊর্ধ্বমুখীন ফুলের মতো —

তাপসকুমার চাহিলা, আমার

মুখপানে করি বদন নত।

প্রথম-রমণী-দরশ-মুগ্ধ

সে দুটি সরল নয়ন হেরি

হৃদয়ে আমার নারীর মহিমা

বাজায়ে উঠিল বিজয়ভেরী।

ধন্য রে আমি, ধন্য বিধাতা

সৃজেছ আমারে রমণী করি।

তাঁর দেহময় উঠে মোর জয়,