কাহিনী

অদৃষ্টে যার নেইকো গয়না

গরিব হয়ে সে গরিব হয় না।

চতুর্থী।     বড়োমান্‌ষের বিচার তো নেই।

কারেও বা তাঁর ধরে না মনেই,

কেউ বা তাঁহার মাথার ঠাকুর।

প্রথমা।     টাকাটা সিকেটা কুমড়ো কাঁকুড়

যা পাই সে ভালো, কে দেয় তাই বা।

দ্বিতীয়া।     অবিচারে দান দিলেন নাই বা।

মাথা বাঁধা রেখে পায়ের নীচে

ভরি-কত সোনা পেলেম মিছে।

ক্ষীরো।      মা লক্ষ্মী যদি হতেন সদয়

দেখিয়ে দিতেম দান কারে কয়।

দ্বিতীয়া।     আহা তাই হোক, লক্ষ্মীর বরে

তোর ঘরে যেন টাকা নাহি ধরে।

প্রথমা।     ওলো থাম্‌ তোরা, রাখ্‌ বকুনি —

রানীর পায়ের শব্দ শুনি।

উচ্চৈঃস্বরে

চতুর্থী।     আহা জননীর অসীম দয়া,

ভগবতী যেন কমলালয়া।

দ্বিতীয়া।     হেন নারী আর হয় নি সৃষ্টি,

সবা-'পরে তাঁর সমানে দৃষ্টি।

তৃতীয়া।     আহা-মরি, তাঁরি হস্তে আসি

সার্থক হল অর্থরাশি।

কল্যাণীর প্রবেশ

কল্যাণী।     রাত হল তবু কিসের কমিটি?

ক্ষীরো।      সবাই তোমারই যশের জমিটি

নিড়োতেছিলেন, চষতেছিলেন,

মই দিয়ে কষে ঘষতেছিলেন,

আমি মাঝে মাঝে বীজ ছিটিয়ে

বুনেছি ফসল আশ মিটিয়ে।

কল্যাণী।     রাত হল, আজ যাও সবে ঘরে।

এই কটি কথা রেখো মনে করে —