প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
কথার সঙ্গে রুপোর বৃষ্টি।
চতুর্থী। তাও বলি, বাপু, এটা কিছু বেশি —
সবার সঙ্গে এত মেশামেশি।
বড়োলোক তুমি ভাগ্যিমন্ত,
সেইমত চাই চাল-চলন তো?
তৃতীয়া। দেখলি সেদিন শশীর বাঁ গালে
আপনার হাতে ওষুধ লাগালে!
চতুর্থী। বিধু খোঁড়া সেটা নেহাত বাঁদর,
তারে কেন এত যত্ন আদর?
তৃতীয়া। এত লোক আছে কেদারের মাকে
কেন বলো দেখি দিনরাত ডাকে।
গয়লাপাড়ার কেষ্টদাসী
তারি সাথে কত গল্প হাসি,
যেন সে কতই বন্ধু পুরোনো।
চতুর্থী। ওগুলো লোকের আদর কুড়োনো।
ক্ষীরো। এ সংসারের ওই তো প্রথা,
দেওয়া নেওয়া ছাড়া নেইকো কথা।
ভাত তুলে দেন মোদের মুখে,
নাম তুলে নেন পরম সুখে।
ভাত মুখে দিলে তখনি ফুরোয়,
নাম চিরদিন কর্ণ জুড়োয়।
চতুর্থী। ওই বউ নিয়ে ফিরে এল নেকী।
বধূসহ দ্বিতীয়ার প্রবেশ
প্রথমা। কী পেলি লো বিধু, দেখি দেখি দেখি।
দ্বিতীয়া। শুধু একজোড়া রতনচক্র।
তৃতীয়া। বিধি আজ তোরে বড়োই বক্র।
এত ঘটা করে নিয়ে গেল ডেকে,
ভেবেছিনু দেবে গয়না গা ঢেকে।
চতুর্থী। মেয়ের বিয়েতে পেয়ারী বুড়ি
পেয়েছিল হার, তা ছাড়া চূড়ি।
দ্বিতীয়া। আমি যে গরিব নই যথেষ্ট,
গরিবিয়ানায় সে মাগী শ্রেষ্ঠ ;