কাহিনী

তৃতীয়া।     তুমি থামলে যে অনেক থামে।

দ্বিতীয়া।     আহা, কোথা হতে এলেন গুরু।

হিতকথা আর কোরো না শুরু।

হঠাৎ ধর্মকথার পাঠটা

তোমার মুখে যে শোনায় ঠাট্টা।

ক্ষীরো।      ধর্মও রাখো, ঝগড়াও থাক্‌,

গলা ছেড়ে আর বাজিয়ো না ঢাক।

পেট ভরে খেলে, করলে নিন্দে,

বাড়ি ফিরে গিয়ে ভজো গোবিন্দে।

[প্রতিবেশিনীগণের প্রস্থান

ওরে বিনি, ওরে কিনি, ওরে কাশী!

 

বিনি কিনি কাশীর প্রবেশ

 

কাশী।      কেন দিদি।

কিনি।                  কেন খুড়ি।

বিনি।                     কেন মাসি।

ক্ষীরো।      ওরে, খাবি আয়।

বিনি।                 কিছু নেই খিধে।

ক্ষীরো।      খেয়ে নিতে হয় পেলেই সুবিধে।

কিনি।      রসকরা খেয়ে পেট বড়ো ভার।

ক্ষীরো।      বেশি কিছু নয়, শুধু গোটা চার

ভোলা ময়রার চন্দ্রপুলি

দেখ্‌ দেখি ওই ঢাকনা খুলি —

তাই মুখে দিয়ে, দু-বাটিখানিক

দুধ খেয়ে শোও লক্ষ্মী মানিক।

কাশী।      কত খাব, দিদি, সমস্ত দিন।

ক্ষীরো।      খাবার তো নয় খিদের অধীন।

পেটের জ্বালায় কত লোকে ছোটে,

খাবার কি তার মুখে এসে জোটে?

দুঃখী গরিব কাঙাল ফতুর

চাষাভুষো মুটে অনাথ অতুর