কাহিনী

কারো তো খিদের অভাব হয় না,

চন্দ্রপুলিটা সবার রয় না।

মনে রেখে দিস যেটার যা দর —

খাবার চাইতে খিদের আদর!

হাঁ রে বিনি, তোর চিরুনি রুপোর

দেখছি নে কেন খোঁপার উপর?

বিনি।       সেটা ও পাড়ার খেতুর মেয়ে

কেঁদেকেটে কাল নিয়েছে চেয়ে।

ক্ষীরো।      ওই রে, হয়েছে মাথাটি খাওয়া।

তোমারও লেগেছে দাতার হাওয়া।

বিনি।      আহা, কিছু তার নেই যে মাসি।

ক্ষীরো।      তোমারই কি এত টাকার রাশি।

গরিব লোকের দয়ামায়া রোগ

সেটা যে একটা ভারি দুর্যোগ।

না না, যাও তুমি মায়ের বাড়িতে —

হেথাকার হাওয়া সবে না নাড়িতে।

রানী যত দেয় ফুরোয় না, তাই

দান করে তার কোনো ক্ষতি নাই!

তুই যেটা দিলি রইল না তোর,

এতেও মনটা হয় না কাতর?

ওরে বোকা মেয়ে, আমি আরো তোরে

আনিয়ে নিলেম এই মনে ক'রে

কী করে কুড়োতে হইবে ভিক্ষে

মোর কাছে তাই করবি শিক্ষে।

কে জানত তুই পেট না ভরতে

উল্‌টো বিদ্যা শিখবি মরতে?—

দুধ যে রইল বাটির তলায়

ওইটুকু বুঝি গলে না গলায়?

আমি মরে গেলে যত মনে আশ

কোরো দান ধ্যান আর উপবাস।

যতদিন আমি রয়েছি বর্তে

দেব না করতে আত্মহত্যে। —