কাহিনী

খাওয়া দাওয়া হল, এখন তবে

রাত হল ঢের, শোও গে সবে।

[কিনি বিনি কাশীর প্রস্থান

কল্যাণীর প্রবেশ

 

ওগো দিদি, আমি বাঁচি নে তো আর।

কল্যাণী।     সেটা বিশ্বাস হয় না আমার।

তবু, কী হয়েছে শুনি ব্যাপারটা।

ক্ষীরো।      মাইরি দিদি, এ নয়কো ঠাট্টা।

দেশ থেকে চিঠি পেয়েছি মামার

বাঁচে কি না-বাঁচে খুড়িটি আমার —

শক্ত অসুখ হয়েছে এবার,

টাকাকড়ি নেই ওষুধ দেবার।

কল্যাণী।     এখনো বছর হয় নি গত,

খুড়ির শ্রাদ্ধে নিলি যে কত।

ক্ষীরো।      হাঁ হাঁ, বটে বটে, মরেছে বেটী,

খুড়ি গেছে তবু আছে তো জেঠি।

আহা রানীদিদি, ধন্য তোরে,

এত রেখেছিস স্মরণ করে।

এমন বুদ্ধি আর কি আছে,

এড়ায় না কিছু তোমার কাছে।

ফাঁকি দিয়ে খুড়ি বাঁচবে আবার

সাধ্য কি আছে সে তাঁর বাবার?

কিন্তু কখনো আমার সে জেঠি

মরে নি পূর্বে মনে রেখো সেটি।

কল্যাণী।     মরেও নি বটে, জন্মে নি কভু।

ক্ষীরো।      এমন বুদ্ধি দিদি তোর, তবু

সে বুদ্ধিখানি কেবলই খেলায়

অনুগত এই আমারি বেলায়?

কল্যাণী।     চেয়ে নিতে তোর মুখে ফোটে কাঁটা!

না বললে নয় মিথ্যে কথাটা?

ধরা পড় তবু হও না জব্দ?