কাহিনী

মাথায় তাহার পরাই সিঁদুর,

জলপান দিই আশিটা ইঁদুর,

খেয়ে দেয়ে শেষে পেটের ভারে

পড়ে থাকে বেটা আমারই দ্বারে —

সোনা দিয়ে ডানা বাঁধাই, তবে

ওড়বার পথ বন্ধ হবে।

 

লক্ষ্মীর আবির্ভাব

 

কে আবার রাতে এসেছ জ্বালাতে,

দেশ ছেড়ে শেষে হবে কি পালাতে?

আর তো পারি নে।

লক্ষ্মী।                     পালাব তবে কি?

যেতে হবে দূরে।

ক্ষীরো।                     রোসো রোসো দেখি।

কী পরেছ ওটা মাথার ওপর,

দেখাচ্ছে যেন হীরের টোপর।

হাতে কী রয়েছে সোনার বাক্সে

দেখতে পারি কি? আচ্ছা, থাক্ সে।

এত হীরে সোনা কারো তো হয় না —

ওগুলো তো নয় গিল্‌টি গয়না?

এগুলি তো সব সাঁচ্চা পাথর?

গায়ে কী মেখেছ, কিসের আতর?

ভুর্‌ ভুর্‌ করে পদ্মগন্ধ —

মনে কত কথা হতেছে সন্ধ।

বোসো বাছা, কেন এলে এত রাতে?

আমারে তো কেউ আস নি ঠকাতে?

যদি এসে থাকো ক্ষীরিকে তা হলে

চিনতে পার নি সেটা রাখি ব'লে।

নাম কী তোমার বলো দেখি খাঁটি।

মাথা খাও বোলো সত্য কথাটি।

লক্ষ্মী।      একটা তো নয়, অনেক যে নাম।