কাহিনী

ক্ষীরো।      হাঁ হাঁ, থাকে বটে স্বনাম বেনাম

ব্যবসা যাদের ছলনা করা।

কখনো কোথাও পড় নি ধরা?

লক্ষ্মী।      ধরা পড়ি বটে দুই দশ দিন,

বাঁধন কাটিয়ে আবার স্বাধীন।

ক্ষীরো।      হেঁয়ালিটা ছেড়ে কথা কও সিধে —

অমন করলে হবে না সুবিধে।

নামটি তোমার বলো অকপটে।

লক্ষ্মী।      লক্ষ্মী।

ক্ষীরো।      তেমনি চেহারাও বটে।

লক্ষ্মী তো আছে অনেকগুলি,

তুমি কোথাকার বলো তো খুলি।

লক্ষ্মী।      সত্যি লক্ষ্মী একের অধিক

নাই ত্রিভুবনে।

ক্ষীরো।                     ঠিক ঠিক ঠিক।

তাই বলো মা গো, তুমিই কি তিনি?

আলাপ তো নেই, চিনতে পারি নি।

চিনতেম যদি চরণ-জোড়া

কপাল হত কি এমন পোড়া?

এসো, বোসো, ঘর করো'সে আলো।

পেঁচা দাদা মোর আছে তো ভালো?

এসেছ যখন, তখন মাতঃ

তাড়াতাড়ি যেতে পারবে না তো।

জোগাড় করছি চরণ-সেবার ;

সহজ হস্তে পড় নি এবার।

সেয়ানা লোকেরে কর না মায়া

কেন যে জানি তা বিষ্ণুজায়া।

না খেয়ে মরে না বুদ্ধি থাকলে,

বোকারই বিপদ তুমি না রাখলে।

লক্ষ্মী।      প্রতারণা ক'রে পেটটি ভরাও,

ধর্মেরে তুমি কিছু না ডরাও?

ক্ষীরো।      বুদ্ধি দেখলে এগোও না গো,