কাহিনী

ক্ষীরো।                          শেখাও কায়দা।

মালতী।     এত বলি তবু হয় না ফায়দা।

বেগমসাহেব যখন হাঁচেন

তুড়ি ভুল হলে কেহ না বাঁচেন।

তখনি শূলেতে চড়িয়ে তারে

নাকে কাঠি দিয়ে হাঁচিয়ে মারে।

ক্ষীরো।      সোনার বাটায় পান দে তারিণী।

কোথা গেল মোর চামরধারিণী?

তারিণী।     চলে গেছে ছুঁড়ি, সে বলে মাইনে

চেয়ে চেয়ে তবু কিছুতে পাই নে।

ক্ষীরো।      ছোটোলোক বেটী হারামজাদী

রানীর ঘরে সে হয়েছে বাঁদি,

তবু মনে তার নেই সন্তোষ —

মাইনে পায় না ব'লে দেয় দোষ!

পিঁপড়ের পাখা কেবল মরতে।

মালতী!

মালতী।               আজ্ঞে।

ক্ষীরো।                          মাগীরে ধরতে

পাঠাও আমার ছ-ছয় পেয়াদা,

না না, যাবে আরো দুজন জেয়াদা।

কী বল মালতী।

মালতী।                   দস্তুর তাই।

ক্ষীরো।      হাতকড়ি দিয়ে বেঁধে আনা চাই।

তারিণী।     ও পাড়ার মতি রানীমাতাজির

চরণ দেখতে হয়েছে হাজির।

ক্ষীরো।      মালতী!

মালতী।               আজ্ঞে।

ক্ষীরো।                         নবাবের ঘরে

কোন্‌ কায়দায় লোকে দেখা করে?

মালতী।     কুর্নিশ করে ঢোকে মাথা নুয়ে,

পিছু হটে যায় মাটি ছুঁয়ে ছুঁয়ে।

ক্ষীরো।      নিয়ে এসো সাথে, যাও তো মালতী,