কাহিনী

রানীর বোনঝি হয়েছ ভাগ্যে,

জান না আদব! মালতী!

মালতী।                             আজ্ঞে।

ক্ষীরো।      রানীর বোনঝি রানীরে কী ডাকে

শিখিয়ে দে ওই বোকা মেয়েটাকে।

মালতী।     ছি ছি, শুধু মাসি বলে কি রানীকে?

রানীমাসি বলে রেখে দিয়ো শিখে।

ক্ষীরো।      মনে থাকবে তো? কোথা গেল কাশী।

কাশী।      কেন রানীদিদি।

ক্ষীরো।                     চার-চার দাসী

নেই যে সঙ্গে?

কাশী।                     এত লোক মিছে

কেন দিনরাত লেগে থাকে পিছে?

ক্ষীরো।      মালতী!

মালতী।           আজ্ঞে।

ক্ষীরো।                এই মেয়েটাকে

শিখিয়ে দে কেন এত দাসী থাকে।

মালতী।      তোমরা তো নও জেলেনী তাঁতিনী,

তোমরা হও যে রানীর নাতিনী।

যে নবাববাড়ি এনু আমি ত্যেজি

সেথা বেগমের ছিল পোষা বেজি,

তাহারি একটা ছোটো বাচ্ছার

পিছনেতে ছিল দাসী চার-চার,

তা ছাড়া সেপাই।

ক্ষীরো।                শুনলি তো কাশী?

কাশী।      শুনেছি।

ক্ষীরো।                তা হলে ডাক্‌ তোর দাসী।

কিনি পোড়ামুখী!

কিনি।                          কেন রানীখুড়ি?

ক্ষীরো।      হাই তুললেম, দিলি নে যে তুড়ি!

মালতী!

মালতী।               আজ্ঞে।