ভগ্নহৃদয়
অনিল।      ওঠ্‌ হেথা হতে— চল্‌ চল্‌ যাই,
    কি কারণে হেথা আছিস্‌ আর!
মুদিয়া আসিছে মনের নয়ন,
     মনের চরণে পড়িছে ভার!
ললিতা আমার, না থাকুক্‌ রূপ,
     নাই বা গাহিতে পারিলি গান,
ভালোবাসি তোরে, ভালোবাসিব রে
     যত দিন দেহে রহিবে প্রাণ!
নলিনী ব্যতীত আর সকলের প্রস্থান
নলিনী।     পারি নে তো আর, বসি এই খানে,
    ওই যে এ দিকে আসিছে কবি!
কথা আজ মোরে কহিতে হইবে,
     র’ব না বসিয়া অচল ছবি!
কি কথা বলিব? ভাবিতেছি মনে,
     কিছুই তো ভেবে নাহিক পাই!
বলিব কি তারে— ‘তোমরা কবি গো,
     তোমাদের ভালো বাসিতে নাই!
বুঝিতে পার না আপনার মন,
     দিবানিশি বৃথা কর গো শোক!
ভালোবাসা-তরে আকুল হৃদয়,
     ভালোবাসিবার পাও না লোক!
মনে তোমাদের সৌন্দর্য্য জাগিছে
     ধরায় তেমন পাও না খুঁজে,
তবুও তো ভালো বাসিতেই হবে
    নহিলে কিছুতে মন না বুঝে।
অবশেষে কারে পাও দেখিবারে
    নেশায় আপনা ভুলি,
সাজাইয়া দেয় কলপনা তারে
     নিজের গহনা খুলি।
আসি কলপনা কুহকিনীবালা
     নয়নে কি দেয় মায়া,