ভগ্নহৃদয়
গান
কে তুমি গো খুলিয়াছ স্বর্গের দুয়ার?
ঢালিতেছ এত সুখ, ভেঙে গেল— গেল বুক—
যেন এত সুখ হৃদে ধরে না গো আর!
তোমার সৌন্দর্য্যভারে      দুর্বল হৃদয় হা রে
অভিভূত হয়ে যেন পড়েছে আমার!
এস তবে হৃদয়েতে,     রেখেছি আসন পেতে—
ঘুচাও এ হৃদয়ের সকল আঁধার!
তোমার চরণে দিনু প্রেম-উপহার—
না যদি চাও গো দিতে প্রতিদান তার,
নাই বা দিলে তা বালা,     থাক’ হৃদি করি আলা,
হৃদয়ে থাকুক্‌ জেগে সৌন্দর্য্য তোমার!


একাদশ সর্গ
অনিল
অনিল।       কিছুই তো হল না!
সেই সব— সেই সব— সেই হাহাকাররব,
সেই অশ্রুবারিধারা, হৃদয়বেদনা!
কিছুতে মনের মাঝে শান্তি নাহি পাই,
কিছুই না পাইলাম যাহা-কিছু চাই!
ভালো তো গো বাসিলাম— ভালোবাসা পাইলাম,
এখনো তো ভালোবাসি— তবুও কি নাই!
তবুও কেন রে হৃদি শিশুর মতন
দিবানিশি নিরজনে করিছে রোদন!
মনোমত হয় নি বা যা কিছু পেয়েছে,
সকলেরি মাঝে বুঝি অভাব রয়েছে!
আশ মিটাইয়া বুঝি ভালোবাসি নাই,
ভালোবাসা পাই নি বা যতখানি চাই!
যেন গো যাহার তরে মন ব্যগ্র আছে
অশরীরী ছায়া তার দাঁড়াইয়া কাছে,