প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
শুধাইলে কুমারের কথা! কী বলিব
মার্জনা চাহেন যদি যুবরাজ-তরে!
সহিতে পারি নে আমি অশ্রু রমণীর।
প্রণাম! প্রণাম আর্যা!
চন্দ্রসেন। চিরজীবী হও।
রেবতী। জয়ী হও, পূর্ণ হোক মনস্কাম তব।
চন্দ্রসেন। শুনেছি তোমার কাছে কুমার হয়েছে
অপরাধী।
বিক্রমদেব। অপমান করেছে আমারে।
চন্দ্রসেন। বিচারে কী শাস্তি তার করেছ বিধান?
বিক্রমদেব। বন্দীভাবে অপমান করিলে স্বীকার,
করিব মার্জনা।
রেবতী। এই শুধু? আর কিছু
নয়? অবশেষে মার্জনা করিবে যদি
তবে কেন এত ক্লেশে এত সৈন্য লয়ে
এত দূরে আসা।
বিক্রমদেব। ভর্ৎসনা করো না মোরে।
রাজার প্রধান কাজ আপনার মান
রক্ষা করা। যে মস্তক মুকুট বহিছে
অপমান পারে না বহিতে। মিছে কাজে
আসি নি হেথায়।
চন্দ্রসেন। ক্ষমা তারে করো, বৎস,
বালক সে অল্পবুদ্ধি। ইচ্ছা কর যদি
রাজ্য হতে করিয়ো বঞ্চিত— কেড়ে নিয়ো
সিংহাসন-অধিকার। নির্বাসন সেও
ভালো, প্রাণে বধিয়ো না।
বিক্রমদেব। চাহি না বধিতে।
রেবতী। তবে কেন এত অস্ত্র এনেছ বহিয়া?
এত অসি শর? নির্দোষী সৈনিকদের
বধ করে যাবে, যথার্থ যে জন দোষী