প্রথম দস্যু। জানিস
নে কেটা আমি।
দ্বিতীয় দস্যু। ঢের ঢের জানি–
ঢের ঢের জানি–
প্রথম দস্যু। হাসিস
নে হাসিস নে মিছে, যা যা–
সব আপন কাজে যা যা,
যা আপন কাজে।
দ্বিতীয় দস্যু। খুব তোমার
লম্বাচওড়া কথা।
নিতান্ত দেখি তোমায় কৃতান্ত ডেকেছে॥
স্বরলিপি
তৃতীয় দস্যু। আঃ
কাজ কী গোলমালে, নাহয় রাজাই সাজালে।
মরবার বেলায় মরবে ওটাই, আমরা সব থাকব ফাঁকতালে।
প্রথম দস্যু। রাম
রাম! হরি হরি! ওরা থাকতে আমি মরি!
তেমন তেমন দেখলে, বাবা, ঢুকব আড়ালে।
সকলে।
ওরে চল্ তবে শিগ্গিরি,
আনি পূজার সামিগ্গিরি।
কথায় কথায় রাত পোহালো, এমনি কাজের ছিরি॥
স্বরলিপি
প্রস্থান
বালিকা।
হায়, কী দশা হল আমার!
কোথা গো মা করুণাময়ী, অরণ্যে প্রাণ যায় গো।
মুহূর্তের তরে মা গো, দেখা দাও আমারে–
জনমের মতো বিদায়॥
স্বরলিপি
পূজার উপকরণ লইয়া দস্যুগণের প্রবেশ
ও কালীপ্রতিমা ঘিরিয়া নৃত্য
এত রঙ্গ শিখেছ কোথা মুণ্ডমালিনী!
তোমার নৃত্য দেখে চিত্ত কাঁপে, চমকে
ধরণী।
ক্ষান্ত দে মা, শান্ত হ মা, সন্তানের মিনতি।
রাঙা নয়ন দেখে নয়ন মুদি ও মা ত্রিনয়নী॥
স্বরলিপি
বাল্মীকির প্রবেশ
বাল্মীকি।
অহো! আস্পর্ধা একি তোদের নরাধম!
তোদের কারেও চাহি নে আর, আর, আর না রে–