বাল্মীকিপ্রতিভা
সঘনে খর শর সন্ধিয়া।
তরাসে চমকিয়ে হরিণহরিণী
স্থলিত চরণে ছুটিছে–
স্থলিত চরণে ছুটিছে কাননে,
করুণ নয়নে চাহিছে।
আকুল সরসী, সারসসরসী
শরবনে পশি কাঁদিছে।
তিমির দিগ ভরি ঘোর যামিনী
বিপদ ঘন ছায়া ছাইয়া–
কী জানি কী হবে আজি এ নিশীথে,
তরাসে প্রাণ ওঠে কাঁপিয়া॥
স্বরলিপি
প্রথম দস্যুর প্রবেশ
প্রথম দস্যু। প্রাণ
নিয়ে তো সট্কেছি রে, করবি এখন কী।
ওরে বরা, করবি এখন কী।
বাবা রে, আমি চুপ করে এই কচুবনে লুকিয়ে থাকি।
এই মরদের মুরদখানা দেখেও কি রে ভড়কালি না।
বাহবা! শাবাশ তোরে, শাবাশ রে তোর ভরসা দেখি॥
স্বরলিপি
খোঁড়াইতে খোঁড়াইতে আর এক - জন
দস্যুর প্রবেশ
অন্য দস্যু।
বলব কী আর বলব খুড়ো–উঁ উঁ–
আমার যা হয়েছে বলি কার কাছে–
একটা বুনো ছাগল তেড়ে এসে মেরেছে ঢুঁ।
প্রথম দস্যু। তখন যে
ভারী ছিল জারিজুরি,
এখন কেন করছ, বাপু, উঁ উঁ উঁ–
কোন্খানে লেগেছে বাবা, দিই একটু ফুঁ॥
স্বরলিপি