সুখসুপ্ত সরসীনীরে এস' এস'॥
স্ত্রীগণ। এস' যৌবনকাতর হৃদয়ে,
এস' মিলনসুখালস নয়নে,
এস' মধুর শরমমাঝারে,
দাও বাহুতে বাহু বাঁধি,
নবীন কুসুমপাশে রচি দাও নবীন মিলনবাঁধন॥
স্বরলিপি
শান্তার প্রতি
অমর। মধুর বসন্ত এসেছে মধুর মিলন ঘটাতে।
মধুর মলয়সমীরে মধুর মিলন রটাতে।
কুহকলেখনী ছুটায়ে কুসুম তুলিছে ফুটায়ে,
লিখিছে প্রণয়কাহিনী বিবিধ বরনছটাতে।
হেরো পুরানো প্রাচীন ধরণী হয়েছে শ্যামলবরনী,
যেন যৌবনপ্রবাহ ছুটেছে কালের শাসন টুটাতে।
পুরানো বিরহ হানিছে, নবীন মিলন আনিছে,
নবীন বসন্ত আইল নবীন জীবন ফুটাতে॥
স্বরলিপি
স্ত্রীগণ। আজি আঁখি জুড়ালো হেরিয়ে
মনোমোহন মিলনমাধুরী, যুগল মুরতি।
পুরুষগণ।
ফুলগন্ধে পাগল করে, বাজে বাঁশরি উদাস স্বরে,
নিকুঞ্জ প্লাবিত চন্দ্রকরে–
স্ত্রীগণ। তারি মাঝে মনোমোহন মিলনমাধুরী, যুগল মুরতি।
আনো আনো ফুলমালা, দাও দোঁহে বাঁধিয়ে।
পুরুষগণ।
হৃদয়ে পশিবে ফুলপাশ, অক্ষয় হবে প্রেমবন্ধন।
স্ত্রীগণ। চিরদিন
হেরিব হে
মনোমোহন মিলনমাধুরী, যুগল মুরতি॥
স্বরলিপি
প্রমদা ও সখীগণের প্রবেশ
অমর। এ কি স্বপ্ন! এ কি মায়া!
এ কি প্রমদা! এ কি প্রমদার ছায়া!