ক্ষণিকা
ঘরে ধায় সে ছুটি পায় সে
যখন মাঝে মাঝে,
বালিশ - তলে বইটি চাপা
টানিয়া লয় তারে,
পাতাগুলিন ছেঁড়াখোঁড়া
শিশুর অত্যাচারে—
কাজল - আঁকা সিঁদুরমাখা
চুলের - গন্ধে - ভরা
শয্যাপ্রান্তে ছিন্ন বেশে
চাস কি যেতে ত্বরা?
বুকের ‘পরে নিশ্বসিয়া
স্তব্ধ রহে গান—
লোভে কম্পমান।
কোন্ হাটে তুই বিকোতে চাস
ওরে আমার
গান,
কোথায় পাবি প্রাণ?
যেথায় সুখে তরুণ যুগল
পাগল হয়ে বেড়ায়,
আড়াল বুঝে আঁধার খুঁজে
সবার আঁখি এড়ায়,
পাখি তোদের শোনায় গীতি,
নদী শোনায় গাথা,
কত রকম ছন্দ শোনায়
পুষ্প লতা পাতা—
সেইখানেতে সরল হাসি
সজল চোখের কাছে
বিশ্ববাঁশির ধ্বনির মাঝে
যেতে কি সাধ আছে?
হঠাৎ উঠে উচ্ছ্বসিয়া
কহে আমার গান—
সেইখানে মোর স্থান।