চিত্রাঙ্গদা
          প্রকাশের লাগি করেছে সাধনা,
          চিরজীবনেরি বাণীর বেদনা  মিটিল দোঁহার নয়নে–
                   নয়নে, নয়নে॥ স্বরলিপি

প্রস্থান
অর্জুনের প্রবেশ

 অর্জুন।  কেন রে ক্লান্তি আসে আবেশভার বহিয়া,
         দেহ মন প্রাণ দিবানিশি জীর্ণ অবসাদে কেন রে।
             ছিন্ন করো এখনি বীর্যবিলোপী এ কুহেলিকা।
             এই কর্মহারা কারাগারে রয়েছ কোন্‌ পরমাদে।
                                         কেন রে॥ স্বরলিপি


গ্রামবাসীগণের প্রবেশ

 গ্রামবাসীগণ।  হো,  এল এল এল রে দস্যুর দল,
                গর্জিয়া নামে যেন বন্যার জল– এল এল।
                      চল্‌ তোরা পঞ্চগ্রামী,
                   চল্‌ তোরা কলিঙ্গধামী,
                      মল্লপল্লী হতে চল্‌,  চল্‌।
            ‘জয় চিত্রাঙ্গদা’ বল্‌, বল্‌ বল্‌ ভাই রে–
                ভয় নাই, ভয় নাই, ভয় নাই, নাই রে।
  অর্জুন।     জনপদবাসী, শোনো শোনো,
                রক্ষক তোমাদের নাই কোনো?
 গ্রামবাসীগণ।  তীর্থে গেছেন কোথা তিনি
               গোপনব্রতধারিণী,
                   চিত্রাঙ্গদা তিনি রাজকুমারী।
  অর্জুন।     নারী !  তিনি নারী!
 গ্রামবাসীগণ।  স্নেহবলে তিনি মাতা,  বাহুবলে তিনি রাজা।
                  তাঁর নামে ভেরী বাজা,
                      ‘জয় জয় জয়’ বলো ভাই রে–
             ভয় নাই, ভয় নাই, ভয় নাই, নাই রে॥ স্বরলিপি
                         –