পলাতকা

         মাসিক পত্রে প্রবন্ধ উন্মত্ত।

                   যত লিখছি কাব্য

     ততই নোংরা সমালোচন হতেছে অশ্রাব্য।

                   কথায় কেবল কথারি ফল ফলে,

পুঁথির সঙ্গে মিলিয়ে পুঁথি কেবলমাত্র পুঁথিই বেড়ে চলে।

      

   আজ আমার এই ষাট বছরের বয়সকালে

           পুঁথির সৃষ্টি জগৎটার এই বন্দীশালে

                   হাঁপিয়ে উঠলে প্রাণ

             পালিয়ে যাবার একটি আছে স্থান।

                   সেই মহেশের পাশে

             পাড়ায় যারে পাগল বলে হাসে।

                        পাছে পাছে

ছেলেগুলো সঙ্গে যে তার লেগেই আছে।

                   তাদের কলরবে

                   নানান উপদ্রবে

               একমুহূর্ত পায় না শান্তি,

          তবু তাহার নাই কিছুতেই ক্লান্তি।

                   বেগার-খাটা কাজ

তারি ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে কেউ মানে না লাজ।

     সকালবেলায় ধরে ভজন গলা ছেড়ে,

              যতই সে গায়, বেসুর ততই চলে বেড়ে।

               তাই নিয়ে কেউ ঠাট্টা করলে এসে

                   মহেশ বলে হেসে,

          “ আমার এ গান শোনাই যাঁরে

বেসুর শুনে হাসেন তিনি, বুক ভরে সেই হাসির পুরস্কারে।

     তিনি জানেন, সুর রয়েছে প্রাণের গভীর তলায়,

           বেসুর কেবল পাগলের এই গলায়। ”

     সকল প্রয়োজনের বাহির সে যে সৃষ্টিছাড়া

          তার ঘরে তাই সকলে পায় সাড়া।

     একটা রোগা কুকুর ছিল, নাম ছিল তার ভুতো,

     একদা কার ঘরের দাওয়ায় ঢুকেছিল অনাহূত,