কথা

করুণাকিরণে বিকচ নয়ান,

শুভ্র ললাটে ইন্দুসমান

        ভাতিছে স্নিগ্ধ শান্তি।

 

কহিল রমণী ললিত কণ্ঠে,

        নয়নে জড়িত লজ্জা,

ক্ষমা করো মোরে কুমার কিশোর,

দয়া করো যদি গৃহে চলো মোর,

এ ধরণীতল কঠিন কঠোর

        এ নহে তোমার শয্যা।'

 

 

সন্ন্যাসী কহে করুণ বচনে,

        ‘ অয়ি লাবণ্যপুঞ্জে,

এখনো আমার সময় হয় নি,

যেথায় চলেছ যাও তুমি ধনী,

সময় যেদিন আসিবে আপনি

        যাইব তোমার কুঞ্জে। '

 

 

সহসা ঝঞ্ঝা তড়িৎশিখায়

        মেলিল বিপুল আস্য।

রমণী কাঁপিয়া উঠিল তরাসে,

প্রলয়শঙ্খ বাজিল বাতাসে,

আকাশে বজ্র ঘোর পরিহাসে

        হাসিল অট্টহাস্য।

 

             ...

 

বর্ষ তখনো হয় নাই শেষ,

        এসেছে চৈত্রসন্ধ্যা।

বাতাস হয়েছে উতলা আকুল,