কথা

পথতরুশাখে ধরেছে মুকুল,

রাজার কাননে ফুটেছে বকুল

        পারুল রজনীগন্ধা।

 

 

অতি দূর হতে আসিছে পবনে

        বাঁশির মদির মন্দ্র।

জনহীন পুরী, পুরবাসী সবে

গেছে মধুবনে ফুল - উৎসবে —

শূন্য নগরী নিরখি নীরবে

        হাসিছে পূর্ণচন্দ্র।

 

 

নির্জন পথে জ্যোৎস্না - আলোতে

        সন্ন্যাসী একা যাত্রী।

মাথার উপরে তরুবীথিকার

কোকিল কুহরি উঠে বারবার,

এতদিন পরে এসেছে কি তাঁর

        আজি অভিসাররাত্রি?

 

 

নগর ছাড়ায়ে গেলেন দণ্ডী

        বাহিরপ্রাচীরপ্রান্তে।

দাঁড়ালেন আসি পরিখার পারে —

আম্রবনের ছায়ার আঁধারে

কে ওই রমণী প’ড়ে এক ধারে

        তাঁহার চরণোপান্তে!

 

 

নিদারুণ রোগে মারীগুটিকায়

        ভরে গেছে তার অঙ্গ —

রোগমসীঢালা কালী তনু তার