মানসী
     আঁখির সহিতে আঁখির পিপাসা
           লোপ করো একেবারে।

 

     ইন্দ্রিয় দিয়ে তোমার মূর্তি
           পশেছে জীবনমূলে,
    এই ছুরি দিয়ে সে মুরতিখানি
           কেটে কেটে লও তুলে।
     তারি সাথে হায় আঁধারে মিশাবে
           নিখিলের শোভা যত—
     লক্ষ্মী যাবেন, তাঁরি সাথে যাবে
           জগৎ ছায়ার মতো।

 

     যাক, তাই যাক, পারি নে ভাসিতে
           কেবলি মুরতিস্রোতে!
     লহ মোরে তুলি আলোকমগন
           মুরতিভুবন হতে।
     আঁখি গেলে মোর সীমা চলে যাবে—
           একাকী অসীম ভরা,
     আমারি আঁধারে মিলাবে গগন
           মিলাবে সকল ধরা।
     আলোহীন সেই বিশাল হৃদয়ে
           আমার বিজন বাস,
     প্রলয়-আসন জুড়িয়া বসিয়া
           রব আমি বারো মাস।

 

     থামো একটুকু, বুঝিতে পারি নে,
           ভালো করে ভেবে দেখি—
     বিশ্ববিলোপ বিমল আঁধার
           চিরকাল রবে সে কি?
     ক্রমে ধীরে ধীরে নিবিড় তিমিরে
           ফুটিয়া উঠিবে না কি
     পবিত্র মুখ মধুর মূর্তি,