কালরাত্রে

   কাল রাত্রে

      বাদলের দানোয় - পাওয়া অন্ধকারে

            বর্ষণের রিমঝিম প্রলাপে

                  চাপা দিয়েছিল

                       সন্ন্যাসী নিশীথের ধ্যানমন্ত্র।

      জড়ত্বে ছিলেম পরাভূত,

                 ছিলেম উপবাসী ;

              ছিল শিথিলশক্তি ধূলিশয়ান।

                    বুকে ভর দিয়ে বসেছিল

                       সমস্ত আকাশের সঙ্গহীনতা।

   “ চাই চাই” করে কেঁদে উঠেছিল প্রাণ

         প্রহরে প্রহরে নিশাচর পাখির মতো।

            নানা নাম ধরেছিল ভিক্ষা,

         অন্তরের অন্ধস্তরে শিকড় চালিয়েছিল

            আঁকাবাঁকা অশুচি কান্নার।

                     “ চাই চাই” বলে

            শূন্য হাৎড়ে বেড়িয়েছিল রাত - কানা

                      যাকে চায় তাকে না জেনে।

            শেষে ক্রুদ্ধ গর্জনে হেঁকে উঠল,

                     “ নেই সে নেই কোথাও নেই। ”

 

            সত্যহারা শূন্যতার গর্ত থেকে

                 কালো কামনার সাপের বংশ

            বেরিয়ে এসে জড়িয়েছে কাঙালকে—

                 নাস্তিত্বের - সেই - শিকল - বাঁধা ভৃত্যকে—

                         নিরর্থের বোঝায়

                      বেঁকেছে যার পিঠ,

                              নেমেছে যার মাথা।

 

   ভোর হল রাত্রি।