সন্ধ্যাসংগীত

                             পদশব্দ শুনি তার                   তন্দ্রা ভাঙি লতা পাতা

ভর্ৎ সনা করিবে মরমরে।

                             ভাঙা ভাঙা গানগুলি                   মিলিয়া হৃদয়-মাঝে

মিশে যাবে স্বপনের সাথে,

                             নানাবিধ রূপ ধরি                   ভ্রমিয়া বেড়াবে তারা,

হৃদয়ের গুহাতে গুহাতে!

 

আয় সন্ধ্যা ধীরে ধীরে আয়,

আন তোর স্বর্ণ মেঘজাল,

পশ্চিমের সুবর্ণ প্রাঙ্গণে

খেলিবি মেঘের ইন্দ্রজাল!

ওই তোর ভাঙা মেঘগুলি,

হৃদয়ের খেলেনা আমার,

ওইগুলি কোলে করে নিয়ে

সাধ যায় খেলি অনিবার।

ওই তোর জলদের ’পর

বাঁধি আমি কত শত ঘর!

সাধ যায় হোথায় লুটাই,

অস্তগামী রবির মতন,

লুটায়ে লুটায়ে পড়ি শেষে

সাগরের ওই প্রান্তদেশে

তরল কনক নিকেতন!

ছোটো ছোটো ওই তারাগুলি,

ডাকে মোরে আঁখি-পাতা খুলি।

স্নেহময় আঁখিগুলি যেন

আছে শুধু মোর পথ চেয়ে,

সন্ধ্যার আঁধারে বসি বসি

কহে যেন গান গেয়ে গেয়ে,

‘ কবে তুমি আসিবে হেথায়

অন্ধকার নিভৃত-নিলয়ে,

জগতের অতি প্রান্তদেশে

প্রদীপটি রেখেছি জ্বালায়ে!