রূপান্তর

আহ্মা জাণেঁ দূরী বৈকুণ্ঠাসী॥

কাঁহীঁ ' কেল্যা তুহ্মা উমজেনা বাট।

হ্মনুনি বোভাট করূনি জাতোঁ॥

মাগেঁ পুঢেঁ রডাল করাল আরোলী।

মগ কদাকালীঁ তুকা ন য়ে॥

 

ধরায় পাণ্ডরী আছে লোকেদের তরে,

আমি চলিলাম কিন্তু বৈকুণ্ঠের ' পরে।

যাহা - কিছু কর সবে ইহা জেনো সার —

বৈকুণ্ঠের সেই পথ খুঁজে পাওয়া ভার।

আমি গেলে কাঁদিবে সকলে উচ্চরবে,

কিন্তু আর ফিরিব না মনে জেনো সবে।

আমার যে পথ, বড়ো সহজ সে নয় —

দুর্গম সে পথ অতি জানিয়ো নিশ্চয়।

 

              ১৪

 

সখে সজ্জনহো ঘ্যারে রামনাম।

সঙ্গে এতো কোণ নিশ্চয়েসী॥

আমুচে গাবীঞ্চে জারী রত্ন গেলেঁ।

নাহিঁ সাংগীতলে হ্মণাল কোণী॥

হ্মণোনীয়া জরী তুহ্মাঁ করিতোঁ ঠাওয়েঁ।

ন কলে তরী জাওয়ে পুঢে বাটে॥

ইতক্যাবরী রহাল জরী তুম্‌হি মাগে।

তুকা নিরোপ সাঙ্গে বিঠোবাশিঁ॥

 

বন্ধুগণ, শুন, রামনাম করো সবে —

তিনি ছাড়া সত্য বলো কী আছে এ ভবে।

‘ গ্রামের রত্ন যে ছিল সে ছাড়িল দেহ

মোদের সে বার্তা তবু জানালে না কেহ'

পাছে এই কথা বলো ভয় করি, তাই

পৃথ্বী ছাড়িবার আগে জানাইনু ভাই!