প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
আমাদের ছোটো নদী চলে বাঁকে বাঁকে,
বৈশাখ মাসে তার হাঁটুজল থাকে।
পার হয়ে যায় গোরু,পার হয় গাড়ি,
দুই ধার উঁচু তার,ঢালু তার পাড়ি।
চিক্চিক্ করে বালি,কোথা নাই কাদা,
এক ধারে কাশবন ফুলে ফুলে শাদা।
কিচিমিচি করে সেথা শালিখের ঝাঁক,
রাতে ওঠে থেকে থেকে শেয়ালের হাঁক।
আর-পারে আমবন তালবন চলে,
গাঁয়ের বামুনপাড়া তারি ছায়াতলে।
তীরে তীরে ছেলেমেয়ে নাহিবার কালে
গামছায় জল ভরি গায়ে তারা ঢালে।
সকালে বিকালে কভু-নাওয়া হলে পরে
আঁচলে ছাঁকিয়া তারা ছোটো মাছ ধরে।
বালি দিয়ে মাজে থালা, ঘটিগুলি মাজে,
বধুরা কাপড় কেচে যায় গৃহকাজে।
আষাঢ়ে বাদল নামে,নদী ভর-ভর—
মাতিয়া ছুটিয়া চলে ধারা খরতর।
মহাবেগে কলকল কোলাহল ওঠে,
ঘোলাজলে পাকগুলি ঘুরে ঘুরে ছোটে।
দুই কূলে বনে বনে প’ড়ে যায় সাড়া,
বরষার উৎসবে জেগে ওঠে পাড়া।
বেলা যায়। তেল মেখে জলে ডুব দিয়ে আসি। তার পরে খেলা হবে।
একা একা খেলা যায় না। ঐ বাড়ি থেকে কয়জন ছেলে এলে বেশ হয়।
ঐ-যে আসে শচী সেন, মণি সেন, বংশী সেন। আর ঐ-যে আসে মধু শেঠ আর ক্ষেতু শেঠ। ফুটবল খেলা খুব হবে।
বল নেই। গাছ থেকে ঢেলা মেরে বেল পেড়ে নেব। তেলিপাড়া মাঠে গিয়ে খেলা হবে।
খেলা সেরে ঘরে ফিরে যাব। দেরি হবে না।
বাবা নদী থেকে ফিরে এলে তবে যাব। গিয়ে ভাত খেয়ে খাতা নেব। লেখা বাকি আছে।