প্রথম ভাগ

এসেচে শরৎ, হিমের পরশ

লেগেচে হাওয়ার ‘পরে—

সকালবেলায় ঘাসের আগায়

শিশিরের রেখা ধরে।

আমলকী-বন কাঁপে,যেন তার

বুক করে দুরু দুরু—

পেয়েচে খবর পাতা-খসানোর

সময় হয়েচে শুরু।

শিউলির ডালে কুঁড়ি ভ’রে এল,

টগর ফুটিল মেলা,

মালতীলতায় খোঁজ নিয়ে যায়

মৌমাছি দুই বেলা।

গগনে গগনে বরষণ-শেষে

মেঘেরা পেয়েচে ছাড়া,

বাতাসে বাতাসে ফেরে ভেসে ভেসে,

নাই কোনো কাজে তাড়া।

দীঘিভরা জল করে ঢল-ঢল,

নানা ফুল ধারে ধারে,

কচি ধানগাছে ক্ষেত ভ’রে আছে—

হাওয়া দোলা দেয় তারে।

যে দিকে তাকাই সোনার আলোয়

দেখি যে ছুটির ছবি,

পূজার ফুলের বনে ওঠে ওই

পূজার দিনের রবি।


সপ্তম পাঠ

শৈল এল কই? ঐ যে আসে ভেলা চ’ড়ে বৈঠা বেয়ে। ওর আজ পৈতে। ওরে কৈলাস দৈ চাই। ভালো

ভৈষা দৈ আর কৈ মাছ। শৈল আজ খৈ দিয়ে দৈ মেখে খাবে।

দৈ তো গয়লা দেয় নি। তৈরি হয় নি। হয়তো বৈকালে দেবে।

পৈতে হবে চিঠি পেয়ে মৈনিমাসি আজ এল। মৈনিমাসি বৈশাখ মাসে ছিল নৈনিতালে। তাকে যেতে হবে চৈবাসা। তার বাবা থাকে গৈলা।