বন-ফুল
     প্রমোদ নূতনময় সেথা!

সঙ্গীত উচ্ছ্বাসময়,    উচ্ছ্বাস মাধুর্য্যময়,
     মাধুর্য্য মত্ততাময় অতি।
প্রেম অস্ফুটতামাখা,    অস্ফুটতা স্বপ্নমাখা,
     স্বপ্নে-মাখা অস্ফুটিত জ্যোতি!

গভীর নিশীথে যেন,    দূর হোতে স্বপ্ন-হেন
     অস্ফুট বাঁশীর মৃদু রব—
সুধীরে পশিয়া কানে    শ্রবণ হৃদয় প্রাণে
     আকুল করিয়া দেয় সব।

এখানে সকলি যেন    অস্ফুট মধুর-হেন,
     উষার সুবর্ণ জ্যোতি-প্রায়।
আলোকে আঁধার মিশে    মধু জ্যোছনায় দিশে
     রাখিয়াছে ভরিয়া সুধায়!

দূর হোতে অপ্সরার    মধুর গানের ধার,
     নির্ঝরের ঝর ঝর ধ্বনি।
নদীর অস্ফুট তান    মলয়ের মৃদুগান
     একত্তরে মিশেছে এমনি!

সকলি অস্ফুট হেথা    মধুর স্বপনে-গাঁথা
     চেতনা মিশান’ যেন ঘুমে।
অশ্রু শোক দুঃখ ব্যথা    কিছুই নাহিক হেথা
     জ্যোতির্ম্ময় নন্দনের ভূমে!’

আমি যাব সেই খানে    পুলকপ্রমত্ত প্রাণে
     সেই দিনকার মত বেড়াব খেলিয়া—
বেড়াব তটিনীতীরে,    খেলাব তটিনীনীরে,
     বেড়াইব জ্যোছনায় কুসুম তুলিয়া!