বন-ফুল
শুনিছি মৃত্যুর পিছু    পৃথিবীর সব-কিছু
     ভুলিতে হয় নাকি গো যা আছে এখানে!
ওমা! সে কি করে হবে?    মরিতে চাই না তবে
     নীরদে ভুলিতে আমি চাব কোন্‌ প্রাণে?’

কমলা এতেক পরে হেরিল সহসা
     নীরদ কাননপথে যাইছে চলিয়া—
মুখপানে চাহি রয় বালিকা বিবশা,
     হৃদয়ে শোণিতরাশি উঠে উথলিয়া।

নীরদের স্কন্ধে খেলে নিবিড় কুন্তল,
     দেহ আবরিয়া রহে গৈরিক বসন,
গভীর ঔদাস্যে যেন পূর্ণ হৃদিতল—
     চলিছে যে দিকে যেন চলিছে চরণ।

যুবা কমলারে দেখি    ফিরাইয়া লয় আঁখি,
     চলিল ফিরায়ে মুখ দীর্ঘশ্বাস ফেলি।
যুবক চলিয়া যায়    বালিকা তবুও হায়!
     চাহি রয় একদৃষ্টে আঁখিদ্বয় মেলি।

ঘুম হতে যেন জাগি    সহসা কিসের লাগি
     ছুটিয়া পড়িল গিয়া নীরদের পায়।
যুবক চমকি প্রাণে    হেরি চারি দিক-পানে
     পুনঃ না করিয়া দৃষ্টি ধীরে চলি যায়।

‘কোথা যাও— কোথা যাও— নীরদ! যেও না!
     একটি কহিব কথা শুন একবার!
মুহূর্ত্ত— মুহূর্ত্ত রও— পুরাও কামনা!
     কাতরে দুখিনী আজি কহে বার বার!

জিজ্ঞাসা করিবে নাকি আজি যুবাবর