প্রকৃতির প্রতিশোধ

দ্বিতীয় মালিনী। কেনে গা! আমরা বাঘ না ভাল্লুক! না হয় একটু কাছেই আসতে! খেয়ে তো ফেলতুম না।

[হাসিতে হাসিতে সকলের প্রস্থান


একজন বৃদ্ধ ভিক্ষুকের প্রবেশ


গান


ভিক্ষে দে গো ভিক্ষে দে।

দ্বারে দ্বারে বেড়াই ঘুরে, মুখ তুলে কেউ চাইলি নে।

লক্ষ্মী তোদের সদয় হন, ধনের উপর বাড়ুক ধন—

আমি      একটি মুঠো অন্ন চাই গো, তাও কেন পাই নে।

ওই রে সূর্য উঠল মাথায়, যে যার ঘরে চলেছে—

পিপাসাতে ফাটছে ছাতি চলতে আর যে পারি নে।

ওরে, তোদের অনেক আছে, আরো অনেক হবে—

একটি মুঠো দিবি শুধু, আর কিছু চাহি নে।


একদল সৈনিক। (ধাক্কা মারিয়া) সরে যা, সরে যা, পথ ছেড়ে দে। বেটা, চোখ নেই! দেখছিস নে মন্ত্রীর পুত্র আসছেন!


[বাদ্য বাজাইয়া চতুর্দোলা চড়িয়া মন্ত্রিপুত্রের প্রবেশ ও প্রস্থান


সন্ন্যাসী।    মধ্যাহ্ন আইল, অতি তীক্ষ্ম রবিকর।
শূন্য যেন তপ্ত তাম্র-কটাহের মতো।
ঝাঁ ঝাঁ করে চারি দিক; তপ্ত বায়ুভরে
থেকে থেকে ঘুরে ঘুরে উড়িছে বালুকা।
সকাল হইতে আছি, কী দেখিনু হেথা?
এ দীর্ঘ পরান মোর সংকুচিত ক’রে
পারি কি এদের সাথে মিশিতে আবার।
কী ঘোর স্বাধীন আমি! কী মহা আলয়।
জগতের বাধা নাই — শূন্যে করি বাস।


তৃতীয় দৃশ্য
অপরাহ্ন। পথ

প্রথম পথিক।   পান্থগণ, সরে যাও। হেরো, আসিতেছে

ধর্মভ্রষ্ট অনাচারী রঘুর দুহিতা।


বালিকার প্রবেশ


প্রথম পথিক।    ছুঁস নে ছুঁস নে মোরে—

দ্বিতীয় পথিক।            সরে যা অশুচি।