প্রকৃতির প্রতিশোধ
তৃতীয়। (মারিয়া) লাগছে?
বিন্দে। উঃ!
চতুর্থ। এটা কেমন লাগল?
বিন্দে। ও বাবা!
পঞ্চম। এটা কেমন?
বিন্দে। তুমি আমার ধর্মবাপ।
[সহসা ছুটিয়া পলায়ন ও হাসিতে হাসিতে সকলের অনুগমন
সন্ন্যাসী। আহা শ্রান্তদেহে বালা ঘুমিয়ে পড়েছে!
ভুলে গেছে সংসারের অনাদর-জ্বালা।
কঠিন মাটিতে শুয়ে শিরে হাত দিয়ে
ঘুমের মায়ের কোলে রয়েছে আরামে।
যেন এই বালিকার ছোটো হাত দুটি
হৃদয়েরে অতি ধীর করিছে বেষ্টন।
পালা, পালা, এইবেলা, পালা এইবেলা।
ঘুমিয়েছে, এইবেলা ওঠ্ রে সন্ন্যাসী!
পলায়ন! পলায়ন! ছি ছি পলায়ন!
অবহেলা করি আমি বিশ্বজগতেরে,
বালিকা দেখিয়া শেষে পলাইতে হবে!
কখনো না, পালাব না, রহিব এমনি।
প্রকৃতি, এই কি তোর মায়াফাঁদ যত!
এ ঊর্ণাজালে তো শুধু পতঙ্গেরা পড়ে।
চমকিয়া জাগিয়া
বালিকা। প্রভু চলে গেছ তুমি! গেছ কি ফেলিয়া!
সন্ন্যাসী। কেন যাব! কার ভয়ে পলাইব আমি!
ছায়ার মতন তোরে রাখিব কাছেতে,
তবুও রহিব আমি দূর হতে দূরে।
বালিকা। ওই শোনো, রাজপথে মহা কোলাহল।
সন্ন্যাসী। কোলাহল-মাঝে আমি রচিব নির্জন,
নগরে পথের মাঝে তপোবন মোর,
পাতিব প্রলয়াসন সৃষ্টির হৃদয়ে।
একদল পুরুষ ও স্ত্রীলোকের প্রবেশ
প্রথমা স্ত্রী। (কোনো পুরুষের প্রতি) যাও, যাও, আর মুখের ভালোবাসা দেখাতে হবে না!