প্রকৃতির প্রতিশোধ
কুটির রয়েছে তোর নগরের মাঝে,
সেথা আছে লোকজন, গাছপালা, পাখি—
হেথায় কে আছে তোর!
বালিকা। তুমি আছ পিতা।
যে স্নেহ দিয়েছ তুমি তাই নিয়ে রব।
হাসিয়া। স্বগত
সন্ন্যাসী। বালিকা কি মনে করে স্নেহ করি ওরে?
হায় হায়, এ কী ভ্রম! জানে না সরলা
নিষ্কলঙ্ক এ হৃদয় স্নেহরেখাহীন।
তাই মনে করে যদি সুখে থাকে থাক্।
মোহ নিয়ে ভ্রম নিয়ে বেঁচে থাকে এরা।
প্রকাশ্যে
যাই বৎসে, গুহামাঝে করি গে প্রবেশ,
এক বার বসি গিয়ে সমাধি-আসনে।
বালিকা। ফিরিবে কখন পিতা?
সন্ন্যাসী। কেমনে বলিব,
ধ্যানে মগ্ন, নাহি থাকে সময়ের জ্ঞান।
[প্রস্থান
ষষ্ঠ দৃশ্য
অপরাহ্ন
গুহাদ্বারে সন্ন্যাসীর প্রবেশ
বালিকা। এলে তুমি এতক্ষণে, বসে আছি হেথা—
পিতা, আমি তোমা তরে গিয়েছিনু বনে,
এনেছি আঁচল ভরে ফলফুল তুলে।
দেখো চেয়ে কী সুন্দর রাঙা দুটি ফুল।
হাসিয়া
সন্ন্যাসী। দিতে চাস যদি বাছা, দে তবে যা খুশি।
মোর কাছে কিছু নাই সুন্দর কুৎসিত।