রুদ্রচণ্ড
তৃতীয় দৃশ্য
অরণ্য
চাঁদ কবি ও অমিয়া
চাঁদ কবি। কেন লো অমিয়া, তোর কচি মুখখানি
অমন বিষণ্ন হেরি, অমন গম্ভীর?
আয়, কাছে আয়, বোন, শোন্ তোরে বলি,
গান শিখাইব ব’লে দুটি গান আমি
আপনি রচনা করে এনেছি অমিয়া!
বনের পাখিটি তুই, গান গেয়ে গেয়ে
বেড়াইবি বনে বনে এই তোরে সাজে—
অমিয়া। চুপ কর, ওই বুঝি পদশব্দ শুনি!
বুঝি আসিছেন পিতা! না না, কেন নয়!
শোন ভাই, এ বনে এস না তুমি আর!
আসিবে না? তা তা হলে কি অমিয়ার সাথে
আর দেখা হবে নাক? হবে না কি আর?
চাঁদ কবি। কি কথা বলিতেছিস, অমিয়া, বালিকা!
অমিয়া। পিতা যে কি বলেছেন, শোন নাই তাহা—
বড়ো ভয় হয় শুনে, প্রাণ কেঁপে ওঠে!
কাজ নাই ভাই, তুমি যাও হেথা হতে!
যেমন করিয়া হোক, কাটিবেক দিন—
অমিয়ার তরে, কবি, ভেবোনাক তুমি।
চাঁদ কবি। আমি গেলে বল্ দেখি, বোনটি আমার,
কার কাছে ছুটে যাবি মনে ব্যথা পেলে?
আমি গেলে এ অরণ্যে কে রহিবে তোর!
অমিয়া। কেহ না, কেহ না চাঁদ! আমি বলি ভাই,
পিতারে বুঝায়ে তুমি বোলো একবার!
বোলো তুমি অমিয়ারে ভালোবাস বড়,
মাঝে মাঝে তারে তুমি আস দেখিবারে!
আর কিছু নয়, শুধু এই কথা বোলো!
তুমি যদি ভালো করে বলো বুঝাইয়া,